চিরাচরিত ধর্মীয় পোশাকের বদলে খোলামেলা পশ্চিমা পোশাকে আগেই অভ্যস্ত হয়েছেন আইএস বধূ হিসেবে পরিচিত শামীমা বেগম। ব্রিটিশ সরকার শামীমার নাগরিকত্ব বাতিল করেছে আগেই। বার বার আবেদন করলেও তা গ্রহণ করেনি লন্ডন।
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে শামীমার আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে জানা যায়। এদিকে, এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন শামীমা। এজন্য ব্রিটেনে বিচারের মুখোমুখি হতে চান জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস’র সাবেক এই সদস্য।
বর্তমানে সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া এই তরুণীর নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হলেও যেকোনো উপায়ে নিজ দেশ ব্রিটেনে ফিরতে চান তিনি। শামীমা বলেন, ‘আমি সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করি না।
এমনকি আমি আমার দেশ ব্রিটেনকেও কখনো ঘৃণা করিনি। কর্তৃপক্ষের উচিত আমাকে ব্রিটেনে ফিরিয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা। যত দীর্ঘ সময় নিয়ে তারা জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় করতে পারে। তাহলেই তারা বুঝবে যে আমি সত্যি বলছি।
প্রয়োজন হলে তারা আমাকে বিচারের মুখোমুখি করুক আমি তাতেও রাজি। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ যখন আমার কথা বিশ্বাস করবে, তখন সাধারণ নাগরিকরাও আমাকে বিশ্বাস করবে।
অন্যান্য টিনএজারদের মতো আমিও ছোট বয়সে মানসিকভাবে দুর্বল ছিলাম। ফলে খুব সহজেই আমাকে ভুল বোঝানো গেছে।’ উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়ায় পাড়ি জমান শামীমা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।